বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্ব একজোট, গাজার পক্ষে কূটনৈতিক ঝড়!
অনলাইন ডেস্ক
গাজার ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে এবার সরব হয়েছে দুই ডজনেরও বেশি দেশ। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য—গাজার দুর্ভোগ এখন অমানবিকতার চরম সীমা ছাড়িয়েছে।
খবর গণমাধ্যম।
বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এই বিবৃতি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা দিন দিন ত্বরান্বিত হচ্ছে। গাজায় দীর্ঘ ২১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ভয়াবহ সহিংসতার বিরুদ্ধে মিত্র দেশগুলোও এখন প্রকাশ্যে প্রতিবাদে মুখর।
সোমবার (২১ জুলাই) প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ মোট ২১টি রাষ্ট্র দাবি করেছে—এই যুদ্ধ অবিলম্বে থামাতে হবে। তাদের ভাষায়, “গাজার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ এখন নতুন গভীরতায় পৌঁছেছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে এবং জরুরি মানবিক সাহায্যের প্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি।
দেশগুলো স্পষ্টভাবে শিশু ও নিরীহ নাগরিকদের উপর হামলা এবং ত্রাণ নেওয়ার সময় গুলি চালানোর মতো বর্বর কাজের তীব্র নিন্দা জানায়। তারা জানায়, গাজার জনগণ যখন পানি ও খাবারের জন্য সংগ্রাম করছে, তখনও তাদের হত্যা করা হচ্ছে—এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
জাতিসংঘ ও গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, শুধু মে মাসের শেষ দিক থেকে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৮৭৫ জন গাজাবাসী। যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মরদেহগুলোর অনেকই এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা বিতরণের পদ্ধতি বিপজ্জনক, এবং তা গাজার মানুষের মর্যাদাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তারা এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
লন্ডন থেকে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিশ্লেষণে সাংবাদিক সোনিয়া গ্যালেগো বলেন, “গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের মিত্রদের এই বক্তব্য একটি কূটনৈতিক মাইলফলক। এটি ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।”