বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ,
জুলাই বিপ্লবের শহীদ ইকরামুল হক সাজিদের আত্মত্যাগ স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “আগে হলে শিবিরকে হলে মেরে ফেলা হতো—হিপোক্রেসির মাধ্যমে।”
সোমবার (১৩ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামি ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তঃবিভাগ পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। কায়েম বলেন, ১৬ বছর ধরে আমরা মুক্তির স্লোগান নিয়ে যুদ্ধ চালাচ্ছি। এই সময়ে ফ্যাসিস্টদের উত্থান, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের নিরবতা, এবং সুশীল সমাজের হিপোক্রেসির সাক্ষী থেকেছি।
তিনি আরও বলেন, ইসলামি ছাত্র শিবির সবসময় সৃজনশীলতা, কল্যাণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে। “সুন্দর সমাজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সবাইকে সচেতন হতে হবে।” তিনি জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
কায়েম অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনায় বহু বুদ্ধিজীবী নিরব ছিলেন। “আজ আমরা মুক্তভাবে কথা বলতে পারি। আগে হলে শিবিরের নাম বললেই নির্যাতন হতো—এটা এখন আর নেই।”
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, সম্প্রতি ছাত্রদল, শিবিরসহ বিভিন্ন প্যানেলের মধ্যে গুম ও নির্যাতনের রিপোর্টে দেখা গেছে, ইসলামি ছাত্র শিবিরের সদস্যরাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছেন। ছাত্র রাজনীতির সংস্কার নিয়ে তিনি আশাবাদী, আগামী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে ইসলামি ছাত্র শিবির প্যানেল সার্বজনীনভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।
অনুষ্ঠানে শহীদ সাজিদের বোন ফারজানা বলেন, “যে-ই জকসু নির্বাচনে আসুক, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবে, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করবে—এটাই আমরা চাই।” ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসাইন শিক্ষার্থীদের বিতর্কে অংশগ্রহণের গুরুত্ব ও রাজনৈতিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।