বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ,
যশোরে কাঁচা মরিচের দামে যেন আগুন! মাত্র এক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। শনিবার (৪ অক্টোবর) শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০–৪৫০ টাকায়, যা শুক্রবার পর্যন্ত ছিল ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় বাজারে তৈরি হয়েছে ঘাটতি। তবে কৃষি বিভাগ দাবি করছে, এটি মরিচ উৎপাদনের ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’; নতুন ফসল আসা পর্যন্ত দাম কিছুটা উর্ধ্বমুখী থাকবে।
পাইকারি বিক্রেতা রানা গাজী বলেন, “দেশি কাঁচা মরিচের তীব্র সংকট। আজ পাইকারিতেই কেজি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যদি দ্রুত আমদানি বা এলসি না খোলে, তাহলে দাম হাজার ছুঁতে পারে।”
আরেক ব্যবসায়ী দিপু বিশ্বাস বলেন, “বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মরিচের ক্ষতি আরও বাড়বে। যশোর এখন পুরোপুরি আমদানিনির্ভর হয়ে পড়েছে।”
অন্যদিকে, হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। বাজার করতে আসা গৃহিণী নাসরিন বেগম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “এক দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম কীভাবে দ্বিগুণ হয়? ৪০০ টাকা দিয়ে মরিচ কিনব কেমন করে? এখন রান্না করতে হলে মরিচ বাদ দিতে হবে।”
আরেকজন গৃহিণী বলেন, “সবজির বাজার তো এমনিতেই হাতের বাইরে। এখন মরিচ ৪৫০ টাকা হলে সংসার চালানো অসম্ভব। সরকার বাজার মনিটর করছে তো?”
বাজার তদারকি কমিটির সদস্য ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, “আজ সকাল থেকে দাম বেড়েছে, বিষয়টি নজরে রয়েছে। বর্ষায় দাম কিছুটা বাড়লেও কেউ যদি মজুত করে দাম বাড়ায়, আমরা ব্যবস্থা নেব।”
অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন জানান, “এ বছর জেলায় ৬৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ক্ষেতের বড় ক্ষতি হয়নি। এটি ট্রানজিশন সময়, ১৫–২০ দিনের মধ্যে নতুন মরিচ আসলে দাম স্বাভাবিক হবে।”