বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ,
বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন মানবাধিকার কর্মীকে বহনকারী কনশেনস জাহাজ আটক করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে এই জাহাজ আটক হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (FFC) কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে শহিদুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ফিলিস্তিনি সময় ভোর ৬টার দিকে ফ্রিডম ফ্লোটিলার কনশেনস জাহাজের সাংবাদিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও ক্রুদের সঙ্গে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে গেছে। শহিদুল আলম মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ পরিচালনা করবেন Bangladesh Stands With Palestine এবং Free Shahidul আন্দোলনের কর্মীরা।
https://www.facebook.com/share/p/1B1CDpF5xs/
আটকের আগে এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেন, “আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী ও লেখক। আমাদের জাহাজ সমুদ্রে ঘেরাও করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরাইলি বাহিনী অপহরণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তির প্রত্যক্ষ সহায়তায় তারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।”
অন্যদিকে, ইসরাইল দাবি করেছে, গাজার ওপর আরোপিত সমুদ্র অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করায় একটি নৌবহর আটক করা হয়েছে। জাহাজ ও যাত্রীদের আটক করে একটি ইসরাইলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে জানায়, “নৌ অবরোধ ভাঙার আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জাহাজ ও যাত্রীদের ইসরাইলি বন্দরে নেওয়া হয়েছে, সবাই নিরাপদ আছেন। তাদের দ্রুত নির্বাসিত করা হবে।”
টাইমস অব ইসরাইল জানায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলার বহরে মোট ৯টি জাহাজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে রওনা দেয়। FFC কর্তৃপক্ষ জানায়, কনশেনস জাহাজে সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ ৯৩ জন অধিকারকর্মী ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের শহিদুল আলমও।
এর আগে ইসরাইলি বাহিনী আরও তিনটি ছোট জাহাজ আটক করে। মোট ১১টি জাহাজের এই বহরটি গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা অভিযানের অংশ ছিল। সব জাহাজই বর্তমানে ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।