বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক,
২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কারের যাত্রা চিকিৎসাবিজ্ঞানে শুরু হলো। এ বছর এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মান মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাগাগুচি তিন বিজ্ঞানীকে প্রদান করা হয়েছে। তাদের উদ্ভাবনী গবেষণার বিষয় ‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’, যা মানবদেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থার জটিল প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩:৩০ মিনিটে, সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যা শরীরের নিজের কোষ ও টিস্যুকে ভুলবশত আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া, ক্ষতিকারক নয় এমন বহিরাগত উপাদান—যেমন খাদ্য বা অন্ত্রে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া—এর বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া থামায়।
যদি এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, তবে অটোইমিউন রোগ যেমন— রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, টাইপ-১ ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই এই গবেষণা নতুন চিকিৎসা উদ্ভাবনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।
নোবেল কমিটির ভাষায়, এই তিন বিজ্ঞানীর কাজ ইমিউন সিস্টেমের জটিলতাকে নতুনভাবে উন্মোচন করেছে। ভবিষ্যতে অটোইমিউন রোগ, অ্যালার্জি এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন-পরবর্তী জটিলতা প্রতিরোধে এটি নতুন চিকিৎসা কৌশল বিকাশে দিকনির্দেশনা দেবে।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রত্যেকে পাবেন একটি সোনার পদক, একটি সনদপত্র, এবং সম্মিলিতভাবে ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা)। একাধিক বিজয়ী থাকলে অর্থ ভাগাভাগি করা হবে।
প্রসঙ্গত, নোবেল পুরস্কার প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতি—এই ছয়টি শাখায় প্রদান করা হয়। মানবসভ্যতার কল্যাণে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এটি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সম্মান।