বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক,
একজন প্রকৃত শিক্ষক মোমবাতির মতো—নিজে জ্বলে অন্যদের আলোকিত করেন। শিক্ষার্থীর সাফল্যের আড়ালে থাকে তার অগণিত ত্যাগ, মমতা ও নিরলস পরিশ্রম। কিন্তু আমরা কি কখনো থেমে ভেবেছি, সেই নেপথ্য নায়ককে কতটা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি? প্রিয় শিক্ষক কে—এই প্রশ্নের উত্তর সহজে দিতে পারি, কিন্তু ক’জনই বা সাহস করে বলেছেন, ‘আপনি আছেন বলেই আমি আজকের আমি।’
শিক্ষক কেবল বইয়ের জ্ঞান নয়, শেখান জীবনের পাঠ—মানুষ হয়ে ওঠার কলাকৌশল। অথচ প্রতিদিনের ব্যস্ততায় আমরা ভুলে যাই সেই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, যে ভালোবাসা কোনো প্রতিদান চায় না। আজ কেন এই স্মরণ? কারণ আজ রোববার (৫ অক্টোবর)—বিশ্ব শিক্ষক দিবস। একদিনের এই আয়োজন আসলে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক, যেখানে একটি ধন্যবাদ, একটুখানি হাসি কিংবা সামান্য সম্মানই হতে পারে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা।
শিক্ষকই জাতির আলোকবর্তিকা, সভ্যতার নির্মাতা এবং নৈতিকতার স্থপতি। তাদের হাত ধরেই তৈরি হয় আগামী প্রজন্মের চিন্তা, মূল্যবোধ ও চরিত্রের ভিত্তি। তাই তাদের বলা হয় ‘গুরু’—যিনি অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যান। জ্ঞানের আলোয় তারা সমাজে গড়ে তোলেন ন্যায়ের, সত্যের ও মানবতার দিশারি নাগরিক। কেবল পাঠ্যজ্ঞান নয়, জীবনের বাস্তব শিক্ষা দিতেও তারা অগ্রণী।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর পালিত হচ্ছে। ইউনেস্কো এই দিনটিকে স্বীকৃতি দেয় শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে দিবসটি পালিত হয়, যেখানে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তাদের ৪০১টি সহযোগী সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশেও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবছর দিবসটি উদযাপিত হয়—সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা আয়োজনে। ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনে দিনটিকে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার দিবসটি পালনের পর থেকে প্রতিবছর ইউনেস্কোর নির্ধারিত প্রতিপাদ্যে এই দিন শিক্ষককে সম্মান জানানোর দিন হয়ে উঠেছে।