বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন
শহীদদের রক্তেই ইরানের প্রতিরোধ অগ্নিশিখায় রূপ নিল
অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলের সর্বশেষ আগ্রাসনে ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের শাহাদাতকে ‘অপূরণীয় জাতীয় ক্ষতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তবে তিনি কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই রক্তক্ষয়ই জাতীয় প্রতিরোধের অগ্নিশিখায় ঘৃতাহুতি দেবে।
খামেনি বলেন, শত্রুর যেকোনো ধরণের আগ্রাসী পদক্ষেপের জবাব জ্বলন্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবেই আসবে। ইরানের সামরিক ও বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রা এখন আগের চেয়ে বহুগুণ বেগবান হবে।
অন্যদিকে, এক কূটনৈতিক বৈঠকে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার এবং রাশিয়া, চীন, ব্রিকস ও এসসিওর মতো কৌশলগত অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতাই তেহরানের মূল অগ্রাধিকার হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, ১২ দিনের যুদ্ধে ইরানের বার্তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শক্তভাবে পৌঁছে গেছে। এই সময় ইরানি কূটনীতিকেরা সমর্থন আদায়ে বিশ্বজুড়ে নিরলসভাবে সক্রিয় ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি কূটনৈতিক টিমের প্রশংসা করে জানান, সামরিক ও কূটনৈতিক দুই মঞ্চে একসঙ্গে লড়েছে ইরান। তিনি দাবি করেন, এই তৎপরতার ফলে ১২০টিরও বেশি দেশ তেহরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে বৈধতা দিয়েছে।
আরাঘচি জানান, ইসরায়েলি হামলার সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দিনরাত কাজ করেছেন, কেউ কেউ তো কয়েকদিন ধরে বাড়িতেও ফেরেননি।