বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সরকারি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কাজী জিয়া উদ্দিন জানান, “অবাধ, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করব।”
পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ (এইচআর) উন্নয়ন শাখার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন দেশের ইতিহাসে একটি বিশেষ মাইলফলক হয়ে থাকবে।
তিনি আরও জানান, গত তিন মাস ধরে নির্বাচনী আইন, প্রশাসনিক দিক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ৯টি পৃথক প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করা হয়েছে।
ডিআইজি জিয়া উদ্দিন বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআর)-এর নেতৃত্বে গঠিত এই প্রশিক্ষণ কোর্স অত্যন্ত কার্যকর এবং বাস্তবসম্মত।
তার প্রত্যাশা, প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশ সদস্যরা যেকোনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে সক্ষম হবেন।
বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে সারাদেশে ১৩০টি আঞ্চলিক এবং ৪টি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেসব কেন্দ্রেই পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
জানা গেছে, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে থাকবে দুটি প্রামাণ্যচিত্র, ১৫ মিনিটের একটি অডিওভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ৯ মিনিটের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং একটি নির্দেশনামূলক বুকলেট।
গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরে মডিউলভিত্তিক প্রশিক্ষণ নেন ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনার। পরবর্তীতে দেশের ১৯টি পুলিশ একাডেমিতে ১ হাজার ২৯২ জন ‘ট্রেইনার অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই টিওটিরাই পরবর্তীতে মাঠপর্যায়ে দেড় লাখেরও বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে, সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় বাস্তবভিত্তিক মহড়া প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নির্বাচনকালে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
ডিআইজি জিয়া উদ্দিন জানান, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করবে সদর দপ্তর।
সূত্র: বাসস