বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ,
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো নির্বাচন—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “কয়েকজন মানুষ বসে আইন বানালেই গণতন্ত্র আসে না; গণতন্ত্রের মূলে থাকে জনগণের ভোটাধিকার।”
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে এখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। তবে তা কেবল সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব। সংস্কার কিংবা বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না— জনগণের ভোটেই সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতাপ্রেমী, গণতন্ত্রকামী। তারা বহুবার রক্ত দিয়ে অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। বাধা এসেছে, ষড়যন্ত্র এসেছে, তবুও এই জাতি প্রতিবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “শুধু হাসিনা বললেই তাকে সম্মান দেওয়া হয়—আসলে তিনি একজন রাজনৈতিক দানব, যিনি বিচারব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রশাসন, নির্বাচন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা—সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছেন।”
জুলাইয়ের আন্দোলন নিয়ে অন্য সংগঠনের দাবি প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন ধরে রক্ত-ঘাম ঝরিয়েছে বিএনপি। কেউ এখন এ আন্দোলনের মালিকানা দাবি করতে পারে না, ইতিহাস সাক্ষী—গণতন্ত্রের লড়াই বিএনপির।”
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিলে ধানের শীষ বাতিল করতে হবে—এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা তো কারও প্রতীকে বাধা দিইনি। প্রতীক দেবে নির্বাচন কমিশন। ধানের শীষ নিয়ে এত ভয় কেন? কারণ এখন পুরো দেশেই ধানের শীষের জয়ধ্বনি উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ প্রতীককে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু এই প্রতীকই গণমানুষের শক্তি। ধানের শীষ জয়ী হলে যারা বাংলাদেশ নিয়ে খেলতে চায়, তাদের এখান থেকে বিদায় নিতে হবে।”