বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ,
রোববার সন্ধ্যায় ভারত কোনো নোটিশ না দিয়ে গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেয়। উজানের সিকিম, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির ভারী বর্ষণ ও তিস্তা ব্যারাজের উজান পানি একযোগে বাংলাদেশে ঢলে পড়ে।
তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে রাত ১২টায় পানি বিপদসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর জমি প্লাবিত হয়ে ফসল বিনষ্ট হয়েছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
পাউবো ও জেলা প্রশাসন সতর্কতা জারি করেছে, ৪৪টি জলকপাট খোলা রাখার পরও পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা নিরাপদ আশ্রয়ে গেলে ও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানাচ্ছে, তিন থেকে চার দিনের বেশি বন্যা হলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতভর ঘর, পুকুর ও রাস্তা ডুবে যায়। ভারত পানি ছেড়ে দেয়ার কারণে বাংলাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে।