বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক ,
তিব্বতের এভারেস্ট পর্বতের পূর্ব ঢালে ভয়াবহ তুষারঝড়ে প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া শত শত পর্যটককে শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, তুষারে আটকে পড়া ৩৫০ জন পর্যটককে নিরাপদে কিউডাং শহরে নিয়ে আসা হয়েছে, আর বাকি প্রায় ২০০ জনের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়েছে।
চীনের জাতীয় দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ছুটি কাটাতে শতাধিক পর্যটক গিয়েছিলেন তিব্বতের কার্মা ভ্যালি নামের মনোমুগ্ধকর উপত্যকায়। কিন্তু হঠাৎ করেই শুক্রবার বিকেল থেকে প্রবল তুষারঝড় ও বৃষ্টি শুরু হলে মুহূর্তেই এলাকা রূপ নেয় মৃত্যুফাঁদে। স্থানীয় গণমাধ্যম জিমু নিউজ জানায়, এতে প্রায় এক হাজার মানুষ আটকা পড়েন।
১৮ সদস্যের দলে থাকা পর্যটক চেন গেশুয়াং বলেন, “রাতভর আমরা তুষারের মধ্যে আটকে ছিলাম। প্রবল ঠান্ডা ও বজ্রপাতের কারণে হাইপোথারমিয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়ে।” তিনি আরও যোগ করেন, “অক্টোবর মাসে এমন ভয়াবহ আবহাওয়া এর আগে কখনো দেখিনি।”
চীনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানায়, শতাধিক উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় গ্রামবাসী রাস্তা পরিষ্কারে কাজ করছেন। আটকে থাকা সবাইকে ধীরে ধীরে নিচে নামানো হচ্ছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, ইয়াক দিয়ে মালবাহী স্থানীয় গাইড ও কর্মীদের সবাই উদ্ধার হয়েছেন কি না।
অন্য পর্যটক এরিক ওয়েন বলেন, “আমরা পঞ্চম ক্যাম্পে ছিলাম। প্রতি ১০ মিনিটে তাঁবু থেকে বরফ সরাতে হচ্ছিল, না হলে তাঁবু ভেঙে পড়ত।”
কার্মা ভ্যালি মূলত এভারেস্টের সবুজ অঞ্চল, যেখানে কাঞ্চুং হিমবাহের গলিত পানি প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতির অবনতির পর শনিবার সন্ধ্যা থেকে এভারেস্ট সিনিক এরিয়া-তে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে তিব্বতের দক্ষিণে নেপালের পাহাড়ি অঞ্চলেও একই সময়ে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৯ জন। — সূত্র: এনডিটিভি